NewsCaff : প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল। তারপর মহিলার গোপনাঙ্গের কাছে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর হাত যেতেই বেরিয়ে পড়ে ‘আসল’ জিনিস। শুধু গোপনাঙ্গেই নয়, মহিলার জরায়ুতেও লুকানো ছিল সেই জিনিস। মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে এলএসডি, কোকেন সহ এক নাইজেরীয় মহিলাকে গ্রেফতার করল এনসিবি। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ইউএসজি , এক্সরে করানো হলে জরায়ুতে সন্দেহজনক বস্তুর হদিশ মিলেছে। আপাতত সেগুলি বার করার জন্য হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হয়েছে মহিলাকে। ধৃত ডেভিড ব্লেসিংয়ের ব্যাগে উদ্ধার ২০ ব্লট এলএসডি। ১২ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয় তাঁর গোপানাঙ্গ থেকে। পরে জেরার মুখে দেহে আরও মাদক লোকানো আছে বলে শিকার করেন বছর তিরিশের ভিনদেশি মহিলা।
তবে এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত? ইতিমধ্যেই সেই তদন্ত শুরু করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
অন্যদিকে, মাদক পাচারে ধৃত পাঁচ চিনা নাগরিকদের সঙ্গে যোগ থাকতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও। সেই আশঙ্কাতেই ধৃতদের জেরা করতে কলকাতায় এসে পৌঁছলেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷ এদিন সিআইডির সদর দফতর ভবানী ভবনে পাচারকারীদের জেরা করতে গিয়েছেন গোয়েন্দারা৷ চিনা নাগরিকদের জেরা করবেন এনসিবি কর্তারাও৷
২৯ জুন কলকাতা স্টেশনে রেলপুলিশের হাতে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার পার্টি ড্রাগ নিয়ে ধরা পড়ে পাঁচ চিনা নাগরিক। প্রায় দুই কুইন্টাল ড্রাগ বাজেয়াপ্ত হয় ধৃতদের কাছ থেকে। জেরায় কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে পড়ে কেউটে৷ জানা যায় ওই পাঁচজন আসলে চিনের গুয়াংঝৌ প্রদেশের বাসিন্দা৷ সেখান থেকেই নিষিদ্ধ মাদক নিয়ে এসেছিল তাঁরা৷ জেরা থেকে জানা যায় এদের চক্র ছড়ানো রয়েছে চিন-ভারত-মায়ানমার-হংকং হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত।
চিৎপুরে গ্রেফতার হওয়া ওই পাঁচজনের সূত্র ধরে মূর্শিদাবাদের নওদায় খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল একটি চারকোল কারখানার৷ এই কারখানাই ছিল পাচারকারীদের ডেরা৷ ৫ চিনা নাগরিককে নিয়ে নওদার এই ১৫ বিঘা জমিতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। এরপরেই একের পর এক তথ্যসূত্রে হাতে আসতে শুরু করে৷