NewsCaff : ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত মাসুদ রাহাগি যে কড়া সুরে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তা ইরান দূতাবাস খারজি করে জানিয়ে দেয়, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনওভাবেই চিড় ধরবে না। ইরানের উপর নির্ভর না করে অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করায় রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাহাগি।
পেট্রোপণ্যে ইরানের উপর নির্ভরতা কমাতে এখন গোটা বিশ্বের দেশগুলির উপরেই চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা। আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে আমদানি শূন্যে নিয়ে যেতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ-রাষ্ট্রদূত মাসুদ রেজভানিয়ান রাহাগি দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘‘ইরানের বদলে ভারত যদি সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাক কিংবা আমেরিকা থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির উপরে জোর দেয়, তা হলে নয়াদিল্লিকে বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।’’
কূটনীতিকেরা মনে করছেন, নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলতেই এই হুঁশিয়ারি। কারণ, পাকিস্তানকে এড়িয়ে ভারত, ইরান ও আফগানিস্তান চাবাহার বন্দরের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে। মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্যের জন্যও যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হয়। তবে গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করার পরেই পরিস্থিতি অন্য মাত্রা নিয়েছে। ইরানের সঙ্গে জলপথে যোগ কিংবা বন্দর নির্মাণের বিষয়টিও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আসছে। নয়াদিল্লি অবশ্য ওয়াশিংটনকে চাবাহারের গুরুত্ব বোঝাতে তৎপর। নয়াদিল্লির মতে, ভারত তো বটেই, আফগানিস্তানের বাণিজ্যের স্বার্থেও এই প্রকল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে ইরান তেল ইস্যুতে যতটা গর্জেছিল, ততটা কিন্তু বর্ষাল না।