NewsCaff : প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মোদী সরকার বরাবরই দেশ-বিদেশের হেভিওয়েটদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। ক্ষমতায় আসার পর মোদীর প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হাজির ছিলেন লাল কেল্লার কুচকাওয়াজে। পরের বছর ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। ২০১৭ সালে উপস্থিত ছিলেন আবু ধাবির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহায়ান। তবে এবার আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানাল ভারত। জানা গিয়েছে, এই বছরের এপ্রিলেই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে ট্রাম্পের কাছে। তারপর দুই দেশের মধ্যে কিছু আলাপ আলোচনাও হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটন থেকে এনিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
বেশ কিছুদিন ধরেই ঘরে-বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়ছে মোদীর বিদেশনীতি। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের অহেতুক অবনতি হচ্ছে, এ নিয়ে সরব হয়েছেন সমালোচক ও বিরোধীরা। ট্রাম্পকে ভারতে আনতে পারলে তা সাফল্য হিসেবে দেখানো যাবে, এই আশাতেই বুক বাঁধছে মোদী শিবির। এছাড়া বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছুটা চাপেই ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। সেই তালিকায় একদম ওপরে আছেইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়টি। ৪ নভেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে হবে, নয়াদিল্লিকে আগেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা।যদিও এ নিয়ে ভারত এখনও তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি। এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রস্তাবিত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা চুক্তিটিও ভাল চোখে দেখছে না ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত মাসুদ রাহাগি যে কড়া সুরে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তা ইরান দূতাবাস খারজি করে জানিয়ে দেয়, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনওভাবেই চিড় ধরবে না। ইরানের উপর নির্ভর না করে অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করায় রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাহাগি।
পেট্রোপণ্যে ইরানের উপর নির্ভরতা কমাতে এখন গোটা বিশ্বের দেশগুলির উপরেই চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা। আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে আমদানি শূন্যে নিয়ে যেতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ-রাষ্ট্রদূত মাসুদ রেজভানিয়ান রাহাগি দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘‘ইরানের বদলে ভারত যদি সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাক কিংবা আমেরিকা থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির উপরে জোর দেয়, তা হলে নয়াদিল্লিকে বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।’’