আজ ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে! কিন্তু ইমোজির ইতিহাস জানেন কী ?

Now we express our feelings

NewsCaff :  এখন আমরা ইমোজির মাধ্যমেই মনের ভাব প্রকাশ করি। যতদিন ইমোজি ছিল না তখন লিখেই প্রকাশ করা হতো মনের ভাব। কিন্তু এই ইমোজি যেমন সময় বাঁচায় তেমনি রংবেরঙের ইমোজি আমাদের মুখে হাসিও ফোটাও। যত সময় যাচ্ছে ততই নিত্য নতুন ইমোজি তৈরি হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশের জন্য।

কিন্তু আজকের দিনটিকে কেন ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে জানেন ? তাহলে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক –

ইমোজি বলে যে কোনও শব্দ আছে, তাই জানত না কেউ। কিন্তু তাও হাসি মাখা একটা মুখের ছবি, ঠিক যেন স্মাইল ইমোজি, পাওয়া গেল তুরস্কের কারঘামিজ প্রদেশে। তুরস্ক ও ইতালির একদল পুরাতত্ত্ববিদ খুঁজে বের করেছেন এমনই একটি নিদর্শনকে। হুরিয়ত ডেইলি নিউজে প্রকাশিত সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে একটি ঘটের মতো দ্রব্যে আঁকা বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইমোজি। অন্তত বিজ্ঞানীরা তাই বলছেন।

যে ঘটের মত দ্রব্যটি উদ্ধার করা হয়েছে, তা শরবত রাখার পাত্র বা ঘড়া বলে জানাচ্ছেন পুরাতত্ত্ববিদরা। আর সেখানেই আঁকা সেই ইমোজি। যাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে একটি হাসি মাখা মুখের ছবি। সতেরোশো খ্রীষ্টপূর্বাব্দের তৈরি এই ঘড়া বা পাত্র আবিষ্কার কবে হয়েছে জানেন? ওয়ার্ল্ড ইমোজির ডে-র দিন। ঠিক কি কারণে এই ইমোজি অত বছর আগে নির্মাণকারীরা এঁকেছিলেন, তা এখনও জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এই ইমোজি বিশেষ কোনও চিহ্ন বা প্রতীক কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তাই আপাতত একে ‘স্মাইলি’ বলেই চিহ্নিত করেছেন পুরাতত্ত্ববিদরা। কারঘামিজ প্রদেশের কবরস্থান থেকে এরকম আরও অনেক পাত্র উদ্ধার করেছেন তাঁরা।

দুটো চোখ আর একটা হাসিমাখা ঠোঁটের ছবি দিয়ে যে আনন্দ বোঝানো হত এই যুগের ঢের আগে, তা কিছুটা অনুমান করাই যায়। তাই এই আবিষ্কারকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন পুরাতত্ত্ববিদরা। এত বছর আগের পাত্র বা ঘড়া উদ্ধারের বিষয়টি ঐতিহাসিক গুরুত্বের দাবি রাখেও বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। ওই এলাকায় আরও কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন উদ্ধার হয় কিনা, এখন চলছে তার খোঁজ।

Flamingo Media Share