News Caff: দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ভারতের জনসংখ্যা। পরিসংখ্যানবিদরা বলছেন, এই হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের জনসংখ্যা ১৭০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে ভারতই হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। কিন্তু মজার বিষয় সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, ইংরেজি, ইংল্যান্ডের বাসিন্দাদের মাতৃভাষা হিসেবেই পৃথিবীতে ছড়িয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ইংরেজি বলতে পারা লোকের দেশের নাম কিন্তু ইংল্যান্ড নয। এই পালকটিও রয়েছে ভারতের মুকুটেই। ভারতে প্রায় ১২৫ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলেন। সেই সঙ্গে বড় দেশ হিসেবে নাম থাকা রাশিয়ার মোট জনসংখ্য়ার প্রায় দ্বিগুন সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীই রয়েছে ভারতে। ২০১১ সালের জনগণনায় এই সংখ্যাটা ছিল ৩১৫ মিলিয়ন বা ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ।
প্রসঙ্গত, নিছক ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি বললে এই বিপুল জনসংখ্যার চাপটা ঠিক করে বোঝা যায় না। ২০০১ সালের জনগণনায় ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১০২ কোটি ৮০ লক্ষের মতো। ১৯৯১ সালে জনসংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৮০ লক্ষ। অর্থাত ১০০ বছরে ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে ৩৩২%। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশের জনসংখ্যা ও এ সংক্রান্ত কিছু বিস্ময়কর তথ্য ধরে বিচার করলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। পৃথিবীর অন্যতম বড় দেশ ব্রাজিল। আকারে ভারতের চেয়ে আকারে অনেকটাই বড়। কিন্তু এই দেশের একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে দুর্ভেদ্য আমাজন অরণ্য। ব্রাজিলের যা জনসংখ্যা সেই, ২২.৪৬ কোটি মানুষ বাস করেন ভারতের একটি রাজ্য উত্তর প্রদেশেই। আরও দুটি বড় দেশ অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মিলিত জনসংখ্যা ভারতের ওড়িশা এবং ছত্তিশগঢ়-রাজ্যের মোট সংখ্যার থেকে কম। মুম্বই লোকালের ভিড় সম্পর্কে সারা বিশ্বই অবহিত। রোজ অন্তত ৭৫ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ শহরতলী থেকে মুম্বইতে আসেন লোকাল ট্রেনের মাধ্যমে। বিশ্বের দুটি দেশ নিউজিল্যান্ড, বুলগেরিয়ার জনসংখ্যা এর থেকে অনেক কম। আবার এই বিপুল সংখ্য় যাত্রীকে যে ভারতীয় রেল পরিষেবা দেয়, তাদের কর্মীর সংখ্যাই ১৪ লক্ষ। অর্থাত ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, এস্তোনিয়া, মরিশাস, বাহারিন, সাইপ্রাস, লুক্সেমবার্গ, আইসল্যান্ড, লিস্টেনস্টিন, মোনাকো ও ভ্যাটিক্যান সিটির মিলিত মোট জনসংখ্যার সমান সংখ্যক ভারতীয় কাজ করেন শুধুমাত্র রেল সেক্টরে।