NewsCaff : মেট্রো সূত্রের খবর, ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশের জন্য ওইদিন সকাল থেকেই ধর্মতলায় জনসমাগম শুরু হবে। বাস-ট্যাক্সির পাশাপাশি মেট্রোতেও যাত্রীর চাপ বাড়বে। অতীতে দেখা গিয়েছে, অনেকেই প্রাচীর টপকে বা কৌশলে স্টেশনে ঢুকে টিকিট না কেটেই ট্রেনে চড়ে যাতায়াত করেছেন! এবার সেই প্রবণতা আটকাতে চাইছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, যাত্রীরা যাতে টিকিট কেটে সুস্থিরভাবে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারেন, সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে। মেট্রোর কর্তারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্টেশনগুলিতে যাতে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে, সেই জন্যই বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত হচ্ছে। কবি সুভাষ থেকে দমদম পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই মোতায়েন করা হবে বাড়তি আরপিএফ জওয়ান। থাকবে মহিলা পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা স্কোয়াডও। ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে মেট্রোর সদর দফতরের কন্ট্রোলরুম থেকে। অফিসার ও কর্মী মিলিয়ে মোতায়েন হবে প্রায় ৩৫০ জন আরপিএফ। এ ছাড়াও থাকছে মহিলা পুলিশের একটি ১০ জনের বিশেষ দল। থাকবে ডগ স্কোয়াডও। বিশেষ কয়েকটি স্টেশনে রাখা হবে আরপিএফের কম্যান্ডোদের। সব মিলিয়ে ওইদিন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্তেই উদ্যোগী হয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোর কর্তারা জানিয়েছেন, কবি সুভাষ, মহানায়ক উত্তমকুমার, কালীঘাট, যতীন দাস পার্ক, নেতাজি ভবন, রবীন্দ্র সদন, ময়দান, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, চাঁদনি চক, মহাত্মা গাঁধী রোড, শোভাবাজার, শ্যামবাজার এবং দমদম স্টেশনেই রাখা হবে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাঁরা মেট্রো স্টেশনগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
অন্যদিকে, রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। বাতানুকুল ভলভো বাসে চেপে এবার কলকাতা থেকে এক নিমেষে পৌঁছে যাওয়া যাবে জেলা সদরগুলিতে। বুধবার নবান্নের ভিআইপি গেট থেকে ‘বাংলাশ্রী’ নামক এই ভলভো বাস পরিষেবার শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দূরপাল্লার মোট ২০টি রুটে এই বিশেষ ভলভো বাস চলবে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই বাসগুলি ধর্মতলা থেকে ছাড়বে। কলকাতা থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং. রায়গঞ্জ, মালদা, বহরমপুর, বারাসতের মতো ২০টি রুটে চলবে বাসগুলি। প্রতিটি বাসই ননস্টপ। কলকাতা থেকে প্রত্যেকটি জেলা সদরে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই যাতে পৌঁছে যেতে পারে, সেজন্যই রাজ্য পরিবহন দফতরের এই উদ্যোগ।
এতদিন পর্যন্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু থাকলেও, সরকারি ক্ষেত্রে এটাই প্রথম উদ্যোগ। গতিধারা-র মতো এই ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্পেরও নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, বাংলাশ্রী প্রকল্পে দূরপাল্লার দূরত্ব যেতে সুবিধা হবে যাত্রীদের। পাশাপাশি এদিন ২২টি ট্রমা কেয়ার বাতানুকূল অ্যাম্বুলেন্স ও ১৩টি মেডিক্যাল রেকেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।