NewsCaff : দেড় দশক পর ফের সংসদে গৃহীত হল সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। সংসদে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই টিডিপির অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। শুক্রবার এই প্রস্তাবের উপর আলোচনা ও ভোটাভুটি হবে বলে নোটিস দিয়েছেন তিনি। যদিও তাতে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বিজেপির হাতে পর্যাপ্ত সাংসদ সংখ্যা রয়েছে। তবু ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ও শাসক দল উভয়েরই শক্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই অনাস্থা প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু মোদীর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা কাদের ? আজকে সেই নিয়েই আলোচনা।
৪) কীর্তি আজাদ : ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে কথা বলায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া কীর্তি আজাদকে। তাই বিরোধী ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৩) সাবিত্রী বাই ফুলে : মহম্মদ আলি জিন্নাকে ‘মহাপুরুষ’ অ্যাখ্যা দিয়ে এবার দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সাবিত্রী বাই ফুলে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক এখন তুঙ্গে । সেই বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলতে গিয়ে জিন্নাকে মহান ব্যক্তি বলে বর্ণনা করলেন বিজেপি সাংসদ। বিরোধী ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২) ছোটে লাল খাড়ওয়ার (রবার্টসগঞ্জের সাংসদ) : ইনি রবার্টসগঞ্জের বিজেপি সাংসদ। ইনিও দলিত এবং এঁরও অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের সরকার দলিতদের উপর নিপিড়ন চালায়। তার শিকার তিনি নিজেই। তাঁর বাড়িটিকে মিথ্যে করে জঙ্গল এলাকায় অবস্থিত বলে কব্জা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী যোদী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয়।
১) রাজকুমার সাইনি (হরিয়ানারা কুরুক্ষেত্রের সাংসদ) : হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের সাংসদ তিনি। সাম্প্রতিক কালে তাঁকে বারবার বিজেপির সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। এই সরকারের আমলে দেশের গনতন্ত্র বিপন্ন এই অভিযোগ করে তিনি হরিয়ানায় ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ মিছিলও সংগঠিত করেছেন। দিন দশেক আগে তিনি বলেন এই সরকারের নীতি সঠিক নয়। এখনকার বিজেপি সাংসদদের ৯০ শতাংশই সামনের নির্বাচনে হেরে যাবেন।