ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাব। ১২ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর রাত ১১টা থেকে শুরু হয় ভোটাভুটি প্রক্রিয়া। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ১২৬টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ৩২৫টি ভোট। আজ সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় লোকসভার অধিবেশন। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা, বিতর্কের পর মোট ৪৫১ জন সাংসদ ভোট দেন। প্রত্যাশিতভাবেই জয় পেল মোদী সরকার। শিবসেনা ও বিজেডি ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। তবে আস্থা ভোটে বিজেপি জিতলেও ২১- মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন ২০১৯-এ বিজেপি কত আসন পাবে। তিনি বলেন, আগামী লোকসভায় বিজেপি ১০০- ও কম আসন পাবে। এখানেই শেষ নয় এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, যারা প্যান্ডেল গড়তে পারে না, তারা আবার দেশ গড়বে! প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুর শহরে বিজেপির কৃষক কল্যাণ সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পর বিজেপি প্রধানমন্ত্রীকে দেশজুড়ে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে আজ মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে নরেন্দ্র মোদীকে সংবর্ধনা দেয় রাজ্য বিজেপি। কিন্তু সেই সভাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। সামিয়ানা ভেঙে আহত হন ৯১ জন। তাঁদের দ্রুত মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে আহতদের দেখতেও যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।