NewsCaff : পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ করা নিয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়। ১৭৯ ধারায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷
পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিম শব্দটি মুছে ‘বাংলা’ রাখার সিদ্ধান্ত ২০১৬ সালে পাস হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভায়৷ সরকারের বক্তব্য ছিল, জাতীয়স্তরে রাজ্যের স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়ক হবে নাম বদলে গেলে৷ বিধানসভায় নয়া নাম নিয়ে বিতর্ক শেষে সকলেই তা মেনে নেন৷ এ বার বিধানসভায় পাস হয়ে গেলে তারপর তা পাঠানো হবে দিল্লিতে৷ কারণ যুক্তরাষ্ট্রী কাঠামোতে রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে হলে সংসদের অনুমোদনও প্রয়োজন৷
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই ‘বাংলা’ নাম নিয়ে ফের আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, বাংলা, বেঙ্গল ও বঙ্গাল সম্পর্কে ওরা জানিয়েছে, তিনটি জায়গাতেই ‘বাংলা’ ব্যবহার করতে হবে। বাংলা থেকে পাঠানো প্রস্তাবটি সংশোধনী করে পাঠাতে হবে বলে পার্থ জানিয়েছেন। ২০ জুলাই থেকে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল হয়ে বাংলায় ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দীতে ‘বঙ্গাল’— ২০১৬ সালের ২৯ আগষ্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে এই প্রস্তাব পাস হয়। তবে সেই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হয় নি। সেদিন আলোচনার পর ২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পক্ষে ১৮৯ এবং বিপক্ষে ৩১ ভোট পরে। নামবদলের প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি। বিরোধীদের অনেকেরই প্রস্তাব ছিল ‘বঙ্গ’ নামটির পক্ষে। সি পি এম চেয়েছিল শুধুই ‘বাংলা’। প্রস্তাব পাশের পর মমতা বলেন আজ এক ঐতিহাসিক দিন। পরে তিনি বিধানসভায় ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি গান। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হওয়ার পর এবার তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়৷ আবার কেন তারা সংশোধনী চেয়ে পাঠিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
তবে, কেন্দ্র চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পরই সরকারিভাবে রাজ্যের নাম বদল সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের নাম ইংরেজিতে ওয়েস্ট বেঙ্গলের পরিবর্তে শুধু ‘বেঙ্গল’ ও বাংলায় ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু রাজ্যের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।