মা কী শিখিয়েছিলেন ? জাহ্নবী জানালেন সে কথা

Sridevi's daughter jhanvi

NewsCaff :    প্রথম ছবিতেই দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী। আর সিনেমাও চলছে বেশ। কিন্তু এত প্রশংসার মধ্যেও মায়ের জন্য মনকেমন কমছে না জাহ্নবীর।

গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীদেবীর আকস্মিক মৃত্যু থমকে দিয়েছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে। আদরের জানুর বলিউড ডেবিউ দেখে যেতে পারেননি তিনি। ভাল অভিনেত্রী নয়, মেয়েকে নাকি ভাল মানুষ হওয়ার পাঠ দিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে জাহ্নবী জানিয়েছেন, প্রায় ৩৫০ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রীদেবী। অভিনয় ছিল তাঁর নিঃশ্বাসের মতোই। ‘‘আলাদা করে কোনওদিন‌ই মা অভিনয় নিয়ে কিছু বলেনি। কিন্তু প্রতিদিন যা যা করতাম খুব মন দিয়ে সেগুলো দেখত’’ শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।

এই মুহূর্তে মাকেই সবচেয়ে বেশি মিস করছেন জাহ্নবী। প্রথম ছবি মুক্তির পর মনে পড়ছে মায়ের কথা। তবে ‘ধড়ক’ দেখে নাকি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বনি কপূর এবং খুশি। জাহ্নবীর কাছে এও এক পরম পাওয়া।

প্রসঙ্গত, হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ আর ‘বদ্রিনাথ কী দুলহানিয়া’র পর পরিচালক কিন্তু বানাতেই পারতেন ‘মধুকার কী দুলহানিয়া’। অথচ তিনি তা করলেন না, তিনি মন দিলেন রিমেকে। এবং ‘মন রাখতে’ ব্যর্থ হলেন। মুক্তির দিনে বক্স অফিসে একেবারেই ছাপ ফেলতে পারল না করণ জোহর প্রযোজিত ‘ধাড়ক’।

২০১৬ সালের মারাঠি ছবি ‘সাইরাত’-এর রিমেক হিসেবেই বানানো হয় ‘ধাড়ক’। ছবির ট্রেলার মুক্তির দিন থেকেই দর্শকদের নজর ছিল মুখ্য দুই নবাগত অভিনয়শিল্পীর ওপর। ইশান খাত্তার আর জাহ্নবী কাপুর।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও জাত-পাতের সমস্যা প্রবল। মাঝে মাঝেই তা হঠাৎ করেই আরো জাঁকিয়ে বসে। দুই যুবক-যুবতীর অসম বর্ণে প্রেম এবং এই প্রেক্ষাপটে তাঁদের ভয়ংকর পরিণতি- এই নিয়েই মারাঠি ভাষায় সিনেমা বানিয়েছিলেন পরিচালক নাগরাজ মাঞ্জুলে।

দেশে তো বটেই দেশের বাইরেও এই সিনেমা যথেষ্ট সমাদর পায়। সদ্য বলিউডে পা রাখা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য করণের দরজা যে সব সময়ই খোলা তা বলিউড জানেই। কিন্তু দুই নতুন অভিনেতাকে নিয়ে রিমেক বানাতে গিয়ে এত হতাশ করবেন তিনি তা বোধহয় আশা করা যায়নি।

ঠিক কী বলতে যে চেয়েছেন পরিচালক গোটা সিনেমা ধরে- তা-ই হাতড়ে বেড়াতে হয়েছে দর্শকদের। ঠিক মিষ্টি প্রেমের গল্প নাকি জাত-পাতের নোংরামি আর তার স্বপক্ষে ‘অনার কিলিং’-এর বীভৎসতা- বুঝে ওঠাই দায়। বলিউড সিনেমাপ্রেমীর কাছেও তাই বিরক্ত লাগতে পারে এই সিনেমার স্টোরি-টেলিং। দুই কলেজপড়ুয়ার প্রেম, তাঁদের ভিন্ন জাত আর সদ্য কলেজে ওঠা মেয়েটির রক্ষণশীল পরিবারের অত্যাচার- গল্প কিন্তু চেনাই। গল্প শোনাতে গিয়ে না মর্মস্পর্শী হতে পেরেছেন পরিচালক, না পেরেছেন সোজাসাপটা রিমেক বানাতে। ‘সাইরাত’-এর পারশ্য আর অর্চির গল্পে যেটুকু সমবেদনা জানাতে পেরেছিলেন দর্শকেরা বা যতটা নিজেদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে মেলাতে পেরেছিলেন, তাঁর ছিটেফোঁটাও পারেননি ‘ধাড়ক’ দেখতে গিয়ে। গভীরতার কোনো বালাই খুঁজে পাননি কেউই।

পরিচালক নিজেই চিত্রনাট্য লিখেছেন। গল্পের প্রেক্ষাপট উদয়পুর আর কলকাতা জুড়েই। একটি হোটেলের মালিকের ছেলে মধুকর বাগলা (ইশান) আর এম এল এ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আশুতোষ রানার মেয়ে পার্থবী সিং (জাহ্নবী) এর কলেজ প্রেম দিয়েই গল্পের শুরু। তবে প্রেমের বা ফ্লার্টিং এর দৃশ্যেও তেমন সপ্রতিভ নন দুজনের কেউই।

সুন্দর দৃশ্য, ঝকঝকে স্মার্ট লোকেশন ছাড়া সিনেমা থেকে প্রাপ্তি বলতে শূন্য। হতাশ করেছেন নতুন এই দুই অভিনেতাও। ‘সাইরাত’-এর মূল অভিনেতা চরিত্র পারশ্যের দুই বন্ধু সালিম আর প্রদীপের সম্পর্ক ওই সিনেমায় আলাদা মাত্রাই শুধু যোগ করেনি, বরং মুসলিম-দলিত সমস্যার গভীরেও পৌঁছে দিয়েছিল দর্শকদের। এখানে ইশানের দুই বন্ধুর ভূমিকা মাঝে মাঝে কমেডি দৃশ্য তৈরি করা ছাড়া বোধহয় আর কিছুই না।
তবে, কলকাতায় পালিয়ে এসে যে হোস্টেলে ওঠে ইশান ও জাহ্নবী সেই হোস্টেল মালিকের ভূমিকায় অসাধারণ খরাজ মুখার্জি।

Flamingo Media Share