NewsCaff : অসুস্থতার কারণে হারাতে হয়েছে নিজের একমাত্র কিশোরী মেয়েকে। কিন্তু বাবার মন তো আর মেয়েকে ভুলতে পারে না। তাই সামান্য বেতনের স্কুলের ক্লার্ক হয়েও তাঁর মেয়ের বয়সী ৪৫ দুঃস্থ ছাত্রীর স্কুলের মাইনেটা নিজের পকেট থেকেই দেন বাসবরাজ।
মেয়ে মারা গিয়েছে গত বছর। একমাত্র সন্তানের মধুর স্মৃতি আগলে রেখে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন কর্নাটকের একটি সরকারি স্কুলের ক্লার্ক।
কর্নাটকের কালাবুলাগি শহরের মাক্তামপুরা সরকারি হাই স্কুলের কেরানির কাজ করেন বাসাভরাজ। সেই স্কুলেরই মোট ৪৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রীদের স্কুলের বেতন দিয়ে দিলেন এই কন্যাহারা পিতা।
এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, এই বছর থেকেই ওই গরিব ছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। গত বছর, রোগে ভুগে মেয়ে ধনেশ্বরী মারা যায়। তারপর থেকেই এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তিনি।
বাসাভারাজের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে ছাত্রীরা। ওই সরকারি স্কুলের ছাত্রী ফতেমা খুবই খুশি। তাঁর কথায়, তারা সবাই অতি দরিদ্র পরিবারের তাই তাদের কাছে স্কুলের ফি দেওয়ার মতো অর্থ নেই। এছাড়া বই, খাতা কেনারও সামর্থ্য নেই তাদের। এতদিন তাদের বাবা, মায়েদের স্কুলের মাইনে দিতে খুব কষ্ট হত। কিন্তু বাসব স্যার তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিজে নেওয়ায় এবং অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির দুশ্চিন্তা কেটে গিয়েছে। ফলে পড়াশোনায় মন দিতে এখন আর তাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
এই ঘটনায় বাসবরাজকে কুর্নিশ জানিয়েছে সব মহল।