News Caff: ‘এই সময়ে’র একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে-নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় গত বুধবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব গৌতম সান্যালের হাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা দু’পাতার একটি চিঠি তুলে দেন। মমতাকে ‘শ্রদ্ধেয়া দিদি’ সম্বোধন করে লেখা ওই চিঠিতে শোভন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক জীবন চালিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। শুরুতেই শোভন বলেছেন, ‘অনেক যন্ত্রণার সঙ্গে আজকে এই চিঠি লিখতে বসেছি।’ শোভন জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্রুপে তিনি মর্মাহত। চিঠিতে শোভন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে সরাসরি জানিয়ে দেন এবং বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তাঁর হাত থেকে একটি দফতর মমতা আগেই নিয়ে নিয়েছেন, বাকি দফতর ও মেয়র পদও নেত্রীরই দেওয়া। তাই, নেত্রী এই ব্যাপারে যে পদক্ষেপ করবেন, সেটা তিনি ‘মাথা পেতে নেবেন’ বলে শোভন ওই চিঠিতে জানিয়েছেন। চিঠির শেষে লেখা, ‘ইতি- কানন’। শোভনকে মমতা তাঁর ডাকনামে, ‘কানন’ বলে সম্বোধন করেন।
তবে গৌতমকে ওই চিঠি দিয়ে শোভন চলে যাওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে তাঁকে ওই চিঠি ফিরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু শোভনের অনড় মনোভাব দেখে তাঁকে নবান্ন থেকে নিজের গাড়িতে তুলে কালীঘাটের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে দু’জনের একান্তে দীর্ঘ বৈঠক হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠক শেষে শোভন ওই চিঠি নিয়ে মমতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
নবান্নের একটি সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই চিঠি ফিরিয়ে দিয়েছেন, তার মানে সব মিটে গিয়েছে। তা ছাড়া, ওটা ব্যক্তিগত চিঠি, যাকে সরকারি বা আনুষ্ঠানিক ইস্তফাপত্রও বলা যায় না। যদিও শোভন ঘনিষ্ঠদের দাবি, বিষয়টি এত সহজে মেটার নয়।
তবে শোভন চট্টেপাধ্যায় ইস্তফা দিলে কে হতে পারেন মেয়র ? রাজনৈতিক মহলের মতে যে জল্পনা শোনা যাচ্ছে সেই নামগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক। যদি ‘নিউজ ক্যাফ’ শুধুমাত্র জল্পনার ভিত্তিতে এই খবর করছে, এর কোনও সত্যতা যাচাই করেনি।
৩) সুব্রত মুখার্জি
আগেও মেয়র ছিলেন তিনি। তাই শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি ইস্তফা দেন তাহলে তাহলে তাঁর পাল্লা বেশ ভারি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২) অতীন ঘোষ
শোভনের পরিবর্তে যে দু’জনের নাম বারবার শোনা যাচ্ছিল তার মধ্যে উত্তর কলকাতার এই তৃণমূল নেতার নাম বারবার ওঠে। দক্ষ সংগঠকের পাশপাশি কাজের মানুষও অতীন ঘোষ। তাই মেয়র হওয়ার সম্ভাবনা তাঁর আছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
১) দেবাশীষ কুমার
দক্ষিণ কলকাতার সুদক্ষ সংগঠক। মেয়র পারিষদ। তবে মেয়র হিসাবে দেবাশীষ কুমারের পাল্লাই সবচেয়ে বেশি বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে।