News Caff: বাজার চলতি ৩২৮ টি জনপ্রিয় ওষুধ নিষিদ্ধ করলো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৬০০০টি ব্র্যান্ড বাতিল হয়ে যাচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যারিডনের মতো ব্যথার ওষুধ, প্যানডার্মের মতো ত্বকের ক্রিম, গ্লুকোনর্ম পিজির মতো ডায়াবেটিসের ড্রাগ, লুপিডিক্লক্সের মতো অ্যান্টিবায়োটিক এবং ট্যাক্সিম এজেড-এর মতো অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ড্রাগ এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ছে। এই নিষিদ্ধ ড্রাগগুলির মোট বাজার দর প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ কোটি টাকার মতো।
নিষিদ্ধ হওয়া ওষুধ গুলি হল ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (এফডিসি) ওষুধ। অর্থাৎ, দু’টি বা তিনটি ওষুধ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে যে ওষুধ তৈরি হয়। ২০১৬ সালের মার্চেই এই ধরণের ওষুধ গুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সরকারের যুক্তি ছিল, দুই বা তিনটি ওষুধ মিশিয়ে এই ওষুধগুলি তৈরি হয়। তাই কোনও রোগীর একটি ওষুধ দরকার হলেও তাঁকে অন্য ওষুধ খেতে হয়, প্রয়োজন না থাকলেও। যা আসলে ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখোমুখি হন রোগীরা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা। তৈরি হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটিও এই ধরনের ওযুধগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পক্ষেই রায় দেয়। অগত্যা এই ওযুধ গুলিকে বাজার থেকে তুলে নেওয়া ছাড়া আরও কোনও রাস্তা খোলা থাকলো না ওযুধ প্রস্তুতকারকদের সামনে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক নামের সংগঠন। যাদের উদ্যোগে এই ওষুধ গুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।