News Caff :
৫৬ বছরের অ্যান্টনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বাসিন্দা। ভবঘুরের মতোই জীবন কাটাচ্ছিলেন এতদিন। শারীরিক অসুস্থতার জেরে কর্মশক্তি হারিয়েছিলেন। রোজগার ছিল না। ছিল না মাথার ওপর ছাদও। বাধ্য হয়ে রাস্তায় ঠাঁই নিতে হয় তাঁকে। পরিবার পরিজন যে ছিল না, তা নয়। তবে কারও ঘাড়ে বোঝা হতে চাননি তিনি। তাই কখনও সেতুর নীচে মাথা গুঁজতেন। কখনও পড়ে থাকতেন রাস্তার ধারে। তবে তাতেও শান্তি ছিল না। পথ চলতি মানুষের দয়া দাক্ষিণ্য মিলত বটে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে তাও লুঠ হয়ে যেত।
একদিন নিজের এক ভাইকে ফোন করেন তিনি। আশ্রয়ের প্রার্থনা করেন। না আশ্রয় জোটেনি সেখানে। কিছু টাকা পাঠিয়েই হাত তুলে নিয়েছিলেন সেই ভাই। অ্যান্টনির হাতে ট্রেনের একটি টিকিট ধরিয়ে দিয়েছিলেন। চলে যেতে বলেছিলেন অন্য আর এক ভাইয়ের কাছে। ভাইয়ের কথা মতো নিউ জার্সির পেন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে পড়েন অ্যান্টনি। কিছুদূর যাওয়ার পর খেয়াল হয়, মুখ ভর্তি দাড়ি। গায়ে ময়লা জমেছে। এমন অবস্থায় কেউ কি মেনে নেবে!যেমন ভাবা তেমনি কাজ। তড়িঘড়ি নিজের পোঁটলা থেকে রেজার বের করেন। ট্রেনের জানলায় মুখ দেখে দাড়ি কামাতে শুরু করেন।
পাশে বসা এক যাত্রী নিজের মোবাইলে তা রেকর্ড করেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। প্রথম কয়েক দিনেই ভিডিওটির দর্শক সংখ্যা ৩০ লক্ষ পেরিয়ে যায়। হইচই পড়ে যায় সর্বত্র। তবে তার কিছুই টের পাননি অ্যান্টনি। পরে ভাইঝির কাছ থেকে জানতে পারেন। অনলাইন তাঁর জন্য ত্রাণ জোগাড় করতে শুরু করেন কলম্বিয়ার বাসিন্দা জর্ডন উল। ‘গো ফান্ড মি’ নামের একটি সোশ্যাল পেজ শুরু করেন তিনি। তাতে দু’দিনেই প্রায় সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা ওঠে। নিউ জার্সির পরিবহণ দফতরের তরফে চাকরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।