সায়ন্তনী রায়চৌধুরী (অধ্যাপিকা, প্র্যাক্সিস বিসনেস স্কুল, কলকাতা)
প্রতীপ কুমার দত্ত (শিক্ষক, রজতপুর ইন্দ্রনারায়ণ বিদ্যাপীঠ , বোলপুর)
২০২০ সালের জানুয়ারী মাস। হঠাৎ এক ভাইরাস এর আবির্ভাব।চীন থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী ঘুরে সে পৌঁছালো ভারতে। সবাই তঠস্থ।সমস্ত বড়ো বড়ো দেশের মানুষ, তাদের সরকার, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিন্নভিন্ন এই ভাইরাসের প্রকোপে। তারমূলকারণ, এর সংক্রমণ ক্ষমতা।অসম্ভব গতিতে এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস কোভিড-১৯।
দেশ, রাজ্যের সীমা পেরিয়ে সারা পৃথিবীব্যাপী এর সংক্রমণ।স্বাভাবিকভাবেই ভারতবর্ষের ও ভয় পাওয়ার কথা।কিভাবে ঠেকানো যায় এই মারণ এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, বাড়তে থাকলো সংখ্যা গুনোত্তর প্রগতিতে। সমস্যাকে বাগে আনতে ঘোষিত হলো লকডাউন।প্রথমধাপে একদিন, তারপর একুশদিন, তারপর আরো উনিশদিন। দরকার ছিল, নিঃসন্দেহে।কারণ, ভারতের মূল সমস্যা তার বিশাল জনসংখ্যা।এরপর আবার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থা বেশ সঙ্গিন।সংক্রমণের তৃতীয়স্তরে পৌঁছলে মৃত্যু মিছিল আটকানো কঠিন। যেখানে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, ব্রিটেন পারলোনা; আমেরিকা পারলোনা; সেখানে ভারত ! অসম্ভব। আজ আমরাসবাইজানিকোভিড১৯কি।আমরাজানিএরগঠন, আমরা জানি এই ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়, আমরা জানি এর মৃত্যুহার, আমরা জানি এই ভাইরাস কোথায় কতদিন বাঁচে। কোন দেশে কতজন আক্রান্ত, কোন দেশে মৃত্যু কত, এসব আজ আমাদের মুখস্ত।আমরা আলোচনা করছি, আমরা গবেষণা করছি, প্রতিটা চ্যানেল সারাদিন এই নিয়ে অনুষ্ঠান করছে। আমরা আশাবাদী, সব মানুষের এত নিরলস চেষ্টা সফল হবেই, এই ভাইরাস কে আমরা হারাবোই।
কিন্তু, এছাড়া ও এমন অনেক কিছু আছে, যা আমাদের জানা দরকার।আলোচনা করা দরকার, ভাবা দরকার।আজ সেদিকে একটু আলোকপাত করতে চাই। প্রথমে আসি যক্ষ্মা (TB)র কথায়।কিছু জরুরি তথ্যও পরিসংখ্যান।আরো একটি অসুখ যেটি একজন থেকে অন্যজনের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।মৃত্যুহার ও বেশ বেশি। বর্তমানে যক্ষানিয়ন্ত্রণের অষুধআছে, তবে আমরা জানিযে প্রাক-অ্যান্টিবায়োটিক যুগে, যক্ষার ক্ষেত্রে মৃত্যুর হারের অনুপাত প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৫০-৬০% ছিল, যা কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আরো বেশি।যক্ষ্মা ব্যাকটিরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয় যা প্রায়শই ফুসফুস কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।কিন্তু আমরা জানি কি যে যক্ষ্মার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যায় আমাদের দেশ গোটা পৃথিবীর মধ্যে প্রথম! প্রবৃদ্ধির হারের বিচারে প্রথমদিকে থাকা ভারতবর্ষ কিছু এমন পরিসংখ্যানে প্রথম স্থানাধিকারী, যেটা দেশবাসী হিসেবে আমাদের পক্ষে লজ্জার। ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যক্ষ্মা রোগী আছে, যা সারা পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশের বেশি। ২০১৬সালে, ২.৭৯ মিলিয়ন মানুষ যক্ষ্মাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এতে মৃত্যু হয়েছিল ৪৩৫০০০ মানুষের। ভারতে প্রতিবছর গড়ে ৮৫০০০০ এর ও বেশি মানুষ যক্ষ্মাতে আক্রান্ত হয়।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১ মিলিয়ন লোকের যক্ষ্মা ছিল এবং তার মধ্যে ২৬৯০০০০ সংখ্যক ভারতবাসী।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যক্ষ্মা প্রতি বছর দেড় মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর কারণ হয়।ভারতে যক্ষ্মার কারণে মৃত্যুর পরিমাণ ২০১০ সালের ৫৫৭০০০ থেকে ১৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২০১৮ সালে ৪৪৯০০০ এ দাঁড়িয়েছে।প্রতিবেদন অনুসারে ভারতে ২০১৮ এ নতুন যক্ষ্মা সংক্রমণের সংখ্যাছিল ২.৬৯ মিলিয়ন।
আমরা হয়তো এই তথ্য গুলো নিয়ে অতটা আলোচনা করিনি, যতটা দরকার।হয়তো আরো বেশি গবেষণার দরকার আছে।আরো বেশি করে খোঁজার দরকার আছে এর পিছনের কারণ গুলোকে।ডাক্তাররা নিশ্চই চেষ্টা করে চলেছেন এই সংখ্যা গুলো কমানোর।হয়তো এক্ষেত্রে আমাদের দেশের আরো বেশি ব্যয় বরাদ্দ করা উচিৎ।কোথাও তো খামতি আছে-যদি না হতো, তাহলে কি আজ ২০২০ তে দাঁড়িয়ে আমরা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যার বিচারে পৃথিবীতে প্রথম হতাম না।আমরা লড়াই করেছি; কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়। আমরা আজকের করোনার মতো এই যক্ষ্মা নিয়ে, তার লক্ষণ নিয়ে, তার সংক্রমণের হার নির্দেশ কারী রেখাকে নিম্নাভিমুখী করা নিয়ে যদি আর একটু বেশি চিন্তা করতাম, আজ হয়তো আমরা এই অবস্থানে থাকতাম না।ভাবতে পারছেন প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। একটা অতি প্রাচীন, চেনা অসুখকেই আমরা নির্মূল করতে পারছিনা! যক্ষ্মা নির্মূল করতে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
এরপর চোখ রাখা যাক ভারতের কতজন মানুষের ক্ষুধার উপশম হয়না, সেই পরিসংখ্যানের দিকে।একবিংশ শতকে বুলেট ট্রেনের স্বপ্নে বিভোর ভারতবর্ষে মৃত্যুর আরেক উল্লেখযোগ্য কারণ ক্ষুধা।আমরা প্রবৃদ্ধির হারে সেরা দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।সবাই ভাবছে আমরা পরবর্তী’ অর্থনৈতিক মহাশক্তি’! তাহলে আরো কিছু পরিসংখ্যান দেখা যাক। ২০১৯-সালের জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ভারতে ১৯৪.৪ মিলিয়ন মানুষ বাজন সংখ্যার ১৪.৫ শতাংশ অপুষ্টির শিকার। এছাড়াও, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে ৫১.৪% রক্তাল্পতার শিকার।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ভারতে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু দের মধ্যে ৩৭.৯% শিশু ‘stunting’ (তাদের উচ্চতা বয়সের তুলনায় খুব কম), এবং ২০.৮% ‘wasting’ এর শিকার, যার অর্থ তাদের ওজন উচ্চতার তুলনায় খুব কম।পুষ্টিহীন শিশুদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং ম্যালেরিয়ার মতো অসুস্থতায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।বিশ্ব ক্ষুদা সূচক, ২০১৮ এর ভিত্তিতে ভারত ১১৯টি দেশের মধ্যে ১০৩ তম স্থানে রয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের মৃত্যু সবচেয়ে বেশিছিল ভারতে, যে সংখ্যাটাহলো ৮৮২০০০। “State of the World’s Children 2019” শিরোনামের এই প্রতিবেদনটি তে বিশ্ব ক্ষুদা সূচক এর হিসেবে ভারতকে ‘serious category’ তে রাখা হয়েছে। ২০১৯ এ ভারতের স্থান ১১৭ দেশের মধ্যে ১০২ এ।২০১৯ সালের ১৫ই অক্টোবর প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুদা সূচক অনুসারে ‘wasting rate’ এ ভারত শীর্ষস্থান অর্জন করেছে, যা গত নয় বছরে ৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুরা ন্যূনতম প্রয়োজনীয় খাবার টুকুও পায়না।২০১৯ সালে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যে ‘Wasting’ বেড়ে হয়েছে ২০.৮ শতাংশে, যেটা ২০১০ এছিল ১৬.৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ‘stunting’ এর কথা বললে, সেটার হার কমেছে। তবেতা এখন ও বেশ বেশি – যা ২০১০ সালে ৪২ শতাংশ ছিল, ২০১৯ এ হয়েছে ৩৭.৯ শতাংশ।জনস্বাস্থ্যের তাৎপর্যের দিক থেকে বর্তমান হারটি খুববেশি।আমরা জানি আমাদের দেশগরিব, কিন্তু আরো গভীরে গিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।বিশ্ব ক্ষুদা সূচক এ আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ আমাদের থেকে এগিয়ে। আর আমরা ভাবি, আমরা খুব দ্রুত উন্নত দেশের তালিকায় স্থান পাবো! স্বাধীনতার পর এত বছর কেটে গেছে।আমরা কি কিছুই করতে পারিনি? আজ আমরা সারাদিন সংবাদ মাধ্যমে করোনা নিয়ে আলোচনা করছি। হ্যাঁ, অবশ্যই দরকার।কিন্তু এই দারিদ্রের পরিসংখ্যান কি এত নগন্য যেতার আলোচনা শুনতে গেলে চ্যানেল খুঁজতে হয়।আজ করোনার সমস্ত তথ্য প্রায় সমস্ত ভারতবাসীর জানা, দারিদ্র্নিয়ে কটা তথ্য আমরা, সাধারণ মানুষ জানি? কজন সেটা নিয়ে ভাবি?
এইসব তথ্য গুলো অনেক বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। আমরা তাহলে এতদিন কি করলাম ! আমরা কত শতাংশ বরাদ্দ রেখেছি স্বাস্থ্য খাতে! আসুন একবার দেখি।আজ আমরা যেসব দেশের মতো উন্নত হতে চাই, যাদের টপকে গিয়ে ‘মহাশক্তিমান’ হবার স্বপ্ন দেখি, তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্যটা দেখা যাক। আরো দেখাযাক, বিগত কিছু বছরে স্বাস্থ্যখাতে এই বরাদ্দ কতটা বেড়েছে।
মাথা পিছু মোট স্বাস্থ্য ব্যয়, ২০১১ সালে পিপিপি আন্তর্জাতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারে।(মুদ্রাস্ফীতি ২০১১ ডলারের সাথে সামঞ্জস্য করা।)
দেশ | ২০০০ | ২০০৫ | ২০১০ | ২০১৫ | ২০১৮ |
আমেরিকা | ৪৫৬২ | ৬৪৫৩ | ৭৯৫০ | ৯৫৩৬ | ১০৫৮৬ |
চীন | ১৩০ | ২১৮ | ৪০৭ | ৭৬২ | ৬৮৮ |
জাপান | ১৯০৬ | ২৪৫৩ | ৩১৯৩ | ৪৪০৫ | ৪৭৬৬ |
জার্মানি | ২৭০৯ | ৩৩৩১ | ৪৪১৩ | ৫৩৫৭ | ৫৯৮৬ |
ভারত | ৮১ | ১০৮ | ১৪৬ | ২৩৮ | ২০৯ |
ব্রিটেন | ১৫৬৮ | ২৩৪৫ | ৩০৫৩ | ৪১৪৫ | ৪০৭০ |
ফ্রান্স | ২৫১৪ | ৩১৩৫ | ৩৮৮১ | ৪৫৪২ | ৪৯৬৫ |
ইতালি | ২০৪৮ | ২৫১৭ | ৩১৪৫ | ৩৩৫১ | ৩৪২৮ |
ব্রাজিল | ৭৫৫ | ৮৮১ | ১১৩৬ | ১৩৯২ | ১২৮২ |
কানাডা | ২৪১৮ | ৩২৭৮ | ৪২০৮ | ৪৬০০ | ৪৮৭৪ |
সূত্র: World Health Organization Global Health Expenditure database ( apps.who.int/nha/database ).
এখানে ২০১৯ এর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর দশটি বৃহত্তম অর্থনীতি নেওয়া হয়েছে।দেখা যাক স্বাস্থ্য খাতে তারা কত টাকা ব্যয় করে।দেখা যাচ্ছে ভারত নমিনাল জিডিপি হিসেবে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও মাথা পিছু মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে অন্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।স্বাভাবিক ভাবেই যক্ষার ক্ষেত্রেও বরাদ্দ কম হবে।যক্ষা নির্মূল করার জন্য যত টাকা প্রয়োজন তার থেকে কম ধার্য হচ্ছে।তাই পৃথিবীর ১৭.৭ শতাংশ মানুষের দেশ ভারতবর্ষে, পৃথিবীর ২৭% শতাংশ যক্ষা রোগীর বসবাস। এটা ২০২৫ এরমধ্যে নির্মূল হওয়া খুবই কঠিন। ২০১৬ সাল থেকে, দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিতে ৪%-৫% হ্রাসের তুলনায় ভারতের যক্ষারোগীর সংখ্যা বার্ষিক ১.৭% হ্রাস পেয়েছে।কিন্তু ২০২৫ সালের মধ্যে এই রোগ নির্মূল করতে ভারতের ১০% হারে বার্ষিক হ্রাস প্রয়োজন। যক্ষা “দূরীকরণ” এর অর্থ হলো প্রতিবছর ১০০০০০ জনসংখ্যায় ১০ টিরও কম সংখ্যক রোগী। ২০১৭ সালে, ভারতের যক্ষা সংক্রমণের পরিমাণ ১০০০০০ জনসংখ্যায় ২০৪ ছিল।২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষার প্রকোপ দূরীকরণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য, ভারতকে আগামী দশকে নতুন যক্ষারোগের ৯৫% হ্রাস করতে হবে।
আমরা আলোচনা করলাম যে বিশ্ব ক্ষুদা সূচকে আমরা কত নিচে অবস্থান করছি, আমরা আলোচনা করলাম আমাদের দেশের অপুষ্টি ও ক্ষুধা জনিত সমস্যার কথা।এবার দেখা যাক দারিদ্র দূরীকরণের জন্য আমরা কি কি করেছি, আর কি কি করা প্রয়োজন।ইউনাইটেড নেশনস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা নিরসনের জন্য আগামী ১৫ বছর ধরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী, পল্লী উন্নয়ন ও কৃষিতে বার্ষিক দ্বিগুণ ব্যয় করতে ভারতের $৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে যা বর্তমানের দ্বিগুণ হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্রতম দের আয়ের স্তরকে প্রতিদিন ১.২৫ ডলার আয়ের স্তরে (যা বিশ্বব্যাংক নির্ধারিত দারিদ্র সীমা) নিয়ে আসতে ভারতকে ৩.৪ বিলিয়ন ডলার দারিদ্র্-ব্যবধান স্থানান্তর করতে হবে।ভারতকে কৃষিও পল্লীউন্নয়নে $ ৪০.৭ বিলিয়ন ব্যয় করতে হবে। এর জন্য ভারতে বার্ষিক৪.৬৯ ট্রিলিয়ন ডলার ($৭৪ বিলিয়নডলার) বা তার জিডিপির ২.৫৩% ব্যয় হবে।
তাহলে দেখা গেল, এখনো অনেক পথচলার বাকি, অনেক কিছু করার বাকি। আজ কোভিড-১৯ নিয়ে এত আলোচনা, যুক্তি, তর্ক, গবেষণা দেখে শুধু বারবার এটাই মনে হচ্ছে, যদি এর সামান্য কিছু শতাংশ সময় বা গবেষণা আমরা যক্ষ্মা বা ক্ষুধা নিয়ে করতাম, তাহলে হয়তো ওপরের তথ্য নিয়ে আমাদের মাথা নিচু করতে হতোনা। এখন প্রশ্ন হলো, করোনা-উত্তর যুগে আমরা কি এইসব নিয়ে আর একটু বেশি ভাববো? করোনার মতোই সবাই মিলে লড়াই করবো? যদি তা করতে পারি, আমরা নিশ্চই দারিদ্র বা ক্ষুধার যন্ত্রনা থেকে, যক্ষার মতো অসুখ থেকে আমাদের প্রিয়দেশকে মুক্ত করতে পারবো।