উত্তরপ্রদেশে বিজেপি শিবির টালমাটাল করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয় দু’ জনের মধ্যে। অবস্থা সামাল দিতে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীসভায় বেশ কিছু রদবদল করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের এই টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই দিল্লিতে এসে পৌঁছোন যোগী। বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। আর তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
জাতীয় রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে যোগীর দিল্লি সফরের উদ্দেশ্য ঘিরে। কারণ, বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জিতিন প্রসাদ। উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ নেতা তিনি। এর পরেই দিল্লিতে তলব করা হয় আদিত্যনাথকে।
আসলে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৭ সালে দুই তৃতীয়াংশ ভোট নিয়ে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এলেও এর পর বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে হারতে হয় বিজেপিকে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স।
এই নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির থেকেও পিছিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে বিজেপি। এই আবহে রাজ্যের মানুষদের দলের প্রতি ক্ষোভে প্রলেপ দেওয়ার দরকার রয়েছে। তা না হলে আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে চূড়ান্ত খারাপ ফলের আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির।