“একদিন তো ওরা কামাখ্যা মন্দিরের জমিও দখল করে নেবে।” অসমের জন বিস্ফোরণ এবং জমি দখলের দায় কার্যত অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিষশর্মা।
তাঁর দাবি, অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘুরা যদি পরিকল্পনা করে পরিবার গড়েন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আরও সচেতন হন, তা হলে জমি বেদখল হওয়ার সামাজিক সমস্যাগুলি মিটবে।
অসমে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সে রাজ্যে ১২১টি বিধানসভার মধ্যে অন্তত ৩৫ বিধানসভায় তারা নির্ণায়ক গোষ্ঠী।
হিমন্ত বলেন, ‘‘এই ভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে অন্যরা কী করবেন! মানুষের তো থাকার জায়গাই থাকবে না।
জমি দখল আটকাতে অসমে অভিযান চালাচ্ছে বর্তমান সরকার। এর জেরে বহু মানুষই ঘরছাড়া এবং তাঁদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জন বিস্ফোরণ যে হারে ঘটছে, তাতে একদিন কামাখ্যা মন্দিরও বেদখল হয়ে যাবে। হয়তো একদিন আমার বাড়িতেও ওরা ঢুকে পড়বে।