মার্কিন মুলুকে বিভিন্ন উচ্চপদে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিয়োগ করা হলেও ফেডারেল বিচারপতির পদে বসার সৌভাগ্য হয়নি কারও। অধরাই থেকে গিয়েছিল সম্মানীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদটি। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচল। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম মুসলিম সম্প্রদায়ের কাউকে ফেডারেল বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিল সিনেট।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত জাহিদ কুরেইশিকে ফেডারেল বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে ছাড়পত্র দিল মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ। কুরেইশির নিয়োগের পক্ষে ভোট দেন ৮১ জন সিনেটর। আর বিরোধিতা করে ভোট দেন মাত্র ১৬ জন সিনেটর। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আমেরিকার প্রথম মুসলিম বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ নিশ্চিত হয় ৪৬ বছর বয়সী জাহিদের।
জাহিদ কুরেইশির নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠদের নেতা চাক শামার বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম। অথচ আজ পর্যন্ত কোনও মুসলিম ফেডারেল বেঞ্চে দায়িত্ব পালন করেননি। এই সিদ্ধান্ত সত্যিই যুগান্তকারী।’
দেশের ইতিহাসে প্রথম ফেডারেল বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জাহিদ কুরেইশির পিতা নিসার কুরেইশি ১৯৭০ সালে অভিবাসী হিসেবে পাকিস্তান থেকে আমেরিকায় আসেন। চিকিৎসক হিসেবে যথেষ্টই সুনাম অর্জন করেছিলেন। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ফলে ছেলের ইতিহাস গড়ার সাক্ষী থাকতে পারেননি তিনি।
রুটগারজ আইন স্কুল থেকে আইনে স্নাতক কুরেইশি মার্কিন সেনার হয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন। ২০১৯ সালে নিউজার্সির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান। গত মার্চে কুরেইশিকে ফেডারেল বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য মনোনীত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।