জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। মৃতদের তালিকা থাকা এক ব্যক্তি এখনও জীবিত। নাম অমৃতাভ চৌধুরী। অভিযোগ, ডিএনএর নকল রিপোর্ট জমা তাকে মৃত দেখানো হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি ও পেয়েছিল পরিবার। এতদিন পর বিষয়টি খোলসা হলে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত অমৃতাভ ও তার বাবাকে।
২০১০ সালের ২৭ মে রাতে ঝাড়গামের রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় মুম্বইগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ওই একই সময়ে লাইনের উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেসটির। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। আর ওই তালিকায় নাম ছিল জোড়াবাগানের অমৃতাভ চৌধুরীর। স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিল রেল। অমৃতাভর বোনকে দেওয়া হয়েছিল সরকারি চাকরি। এতদিন পর সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে ভিজিলান্স ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের সন্দেহ হয় সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই আটক করা হয় অমৃতাভ ও তার বাবাকে।
২০১০ সালে ২৮ মে-র রাতে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে ওই রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। ঘটনায় ১৪৮ জন মারা গিয়েছিলেন বলে খবর। মৃতদের সেই তালিকাতেই ছিল অমৃতাভর নাম ।