হলদিয়া বন্দরে আসার পথে একটি পর্তুগিজ কনটেইনারবাহী জাহাজের ট্রেন কার ফুটো হয়ে মাঝ সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ল ১০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল।বঙ্গোপসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এমভি ডেভন নামে ওই জাহাজটি কলম্বো থেকে কন্টেইনারে পণ্য নিয়ে হলদিয়া আসছিল। জাহাজটি হলদিয়া থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে ওই জাহাজে ৩৮২ কন্টেনার রয়েছে। যাতে মোট পণ্যের পরিমাণ ১০ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন।জাহাজে এক লক্ষ কুড়ি হাজার লিটার লো সালফার জ্বালানি তেল ছিল।তার মধ্যে ১০ কিলো কিলোলিটার অর্থাৎ ১০ হাজার লিটার তেল ছড়িয়ে গিয়ে বিপত্তি দেখা গিয়েছে।তেলের ট্যাংক ফুটো হওয়ার পর বিপদগ্রস্ত এম ডিভনের ক্যাপ্টেন হলদিয়া বন্দরের মেরিন বিভাগ ও কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। কোস্টগার্ড সূত্রে খবর জাহাজটি ১৬ ই জুন সমস্যায় পড়ে।ওই সময় জাহাজটি চেন্নাই থেকে ২৫০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করেছিল।কোস্টগার্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সক্রিয় নজরদারি শুরু করে। হলদিয়া বন্দরে মেরিন বিভাগের বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ক্যাপ্টেন ঘোষ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় হলদিয়ায় জাহাজ টি পৌঁছানোর কথা ছিল ।কিন্তু বিপদে পড়ায় জাহাজটি আসতে দেরি হবে। এখন জাহাজটি হলদিয়া অভিমুখে রওনা দিয়েছে ।রবিবার নাগাদ জাহাজটি হলদিয়ায় এসে পৌছতে পারে। হলদিয়া ডকে আসার পর বন্দরের মার্কেনটাইল ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা করবেন কি ধরনের সমস্যা হয়েছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বললেন কম বা বেশী যে কোন ধরনের জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়া খুবই বিপদজনক। এই সময় গভীর সমুদ্র থেকে বঙ্গোপসাগরের ওই পথ দিয়ে সুন্দরবনের মোহনা এলাকায় আসে ইলিশ মাছের ঝাঁক। তাই ইলিশ মাছে ঝাঁকের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন তারা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন তেল ঢেউয়ের সঙ্গে তীরে এলেই সবচেয়ে বেশি পরিবেশের ক্ষতি হয়।