ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ঘা এখনও শুকোয়নি ৷ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো শনিবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল । ভরা কোটালের জেরে জলস্ফীতি দেখা দেবে নদীগুলিতে ৷ যা নিয়ে অশনি সংকেত দেখছে সুন্দরবনবাসী । পূর্ণিমার ভরা কোটাল নিয়ে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ৷ তটস্থ প্রশাসন ৷
এখনও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন ৷ তারই মধ্যে কোটালের জলস্ফীতি দেখা দেবে সুন্দরবনের একাধিক এলাকায় । যা নিয়ে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ঘোড়ামারা দ্বীপ , মৌসুনি দ্বীপ, কুলতলি সহ উপকূল তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ এছাড়া পাথরপ্রতিমা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত গোবর্ধনপুর, জি প্লটের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল ।
কোটালের মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনওরকম খামতি যাতে না থাকে সেই বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে । ইতিমধ্যে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন । সুন্দরবনবাসীর আশঙ্কা, কোটালে যে সকল কাঁচামাটির নদীবাঁধগুলি রয়েছে সেগুলি ভেঙে গিয়ে আবার নতুন করে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে নোনা জল ।