ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের অফিসে আছে ‘সুপার সিক্রেসি’। কেঁচো খুঁড়তে এভাবেই বেরিয়ে এসেছে কেউটে। তার পুরো অফিস চত্বর জুড়ে মোবাইল ব্যবহার ছিল নিষিদ্ধ ।এমনকি প্রতিটি কর্মীদের ওপর থাকত কড়া
নজরদারি।
এরই পাশাপাশি, শুক্রবার প্রকাশ্যে এসেছে এমনই কিছু নথি যেখানে বলা হয়েছে ICICI Bank-এ পুরসভার কর্মীদের নাম ও স্বাক্ষর দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলেন দেবাঞ্জন।
কোভিশিল্ড নয়, কসবার ক্যাম্প থেকে দেওয়া হয় অ্যামিকাসিন (Amikacin) অ্যান্টিবায়োটিক।
১৩ জনের টিম ছিল ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের।কোথা থেকে ‘টিকা’ কেনেন ধৃত দেবাঞ্জন? সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে পুলিশ ।
গোটা অফিস মুড়ে রাখা হত কঠোর নিরাপত্তায়। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতেন নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দেওয়া অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব।
এরই পাশাপাশি, কসবা টিকাকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার তৃতীয় অভিযোগ দায়ের করা হল নিউ মার্কেট থানায় ৷ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে । পাশাপাশি দেবাঞ্জনকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ উঠে এসেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শখ বদলানোর কথা । খামখেয়ালি জীবনযাপনের কথা ৷
জানা গিয়েছে, ধৃত দেবাঞ্জন পড়াশোনায় ভাল হলেও, খামখেয়ালির জন্য সে কোনও কাজই ঠিক ভাবে করে উঠতে পারেনি । স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে চারুচন্দ্র কলেজে জেনেটিক্স নিয়ে পড়া শুরু করে ।কিন্তু বছর ঘুরতেই পড়া ছেড়ে দিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজে দূরবর্তী শিক্ষা শুরু করে । পরে তাও ছেড়ে দেয় দেবাঞ্জন ।
এরপর পড়াশোনা ছেড়ে গানের জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার শখ হয় তার । জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছে, একাধিক মিউজিক অ্যালবাম আছে তার ৷ যেমন মন পাখি, বোল্ড চাইল্ডহুড-সহ একাধিক গানের অ্যালবাম রয়েছে তার ।কিন্তু খামখেয়ালির জন্য গানের জগৎ থেকেও সরে আসে দেবাঞ্জন । পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবসা শুরু করে দেবাঞ্জন ।
ধৃত দেবাঞ্জন পুলিশকে জানিয়েছে, বাগরি মার্কেটের মেহেতা বিল্ডিং থেকে সে হোলসেলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার কিনে বিক্রি করত । আবার কোনও এলাকায় গিয়ে সেসব বিতরণও করত ৷তবে পুরোটাই তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিশ ।