প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ফের ধাক্কা রাজ্যের। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আটকে গেল প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী ২০২১ অর্থাৎ চলতি বছরে ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে প্রাথমিক পরীক্ষায় টেট বা টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট দিয়েছিলেন আড়াই লক্ষ চাকরিপ্রার্থী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। তার ফলে অনেকেই চাকরি পাবেন। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে হওয়া এই টেট পরীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে পৌঁছয় চাকরিপ্রার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, ২০২১-এর টেট পরীক্ষার নোটিফিকেশন হয়েছিল ২০১৭ সালে। পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ সেই সময়েই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু পরীক্ষাটা নেওয়া হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। যার ফলে মাঝের চারবছরে প্রচুর ডি.এলএড করা চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যারা ওই পরীক্ষায় বসতে পারেনি। অথচ NCTE-এর নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেবে রাজ্য, সেটাও মানা হয়নি। মামলাকারীদের দাবি, এই ৪ বছরে যারা প্রশিক্ষিত হল, তাদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক, কারণ পরীক্ষা না নেওয়াটা বোর্ডের ব্যর্থতা।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি আব্দুর নাজির ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য যারা ডি.এল এড করেছে ২০১৭ নোটিফিকেশনের পর তাদের যেহেতু চাকরি পরীক্ষায় বসার সুযোগ আর তারা পায়নি, তাই আবার নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দ্রুত পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর ফলে নতুন করে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন।