হলুদ ও গোলাপি ফুলকফি!! যথেষ্ট নতুনত্ব।স্বাদে গুনে সাদা ফুলকপি থেকে অনেক ভালো। কোন রং প্রোয়োগ করে নয়, শংকরায়ন পদ্ধতিতে রংবেরঙের ফুলকপি চাষ নজর কেড়েছে সকলের। লাভজনক দিশা দেখাচ্ছে চাষীদের।এমন রঙিন ফুলকফির কদর যথেস্ট বাজারেও।
প্রথাগত চাষ বাদ দিয়ে নতুনত্ব চাষ করার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত বৃন্দাবনচক গ্রামের প্রমথ মাজীর। সেই 2013 সাল থেকে প্রমথ সবুজ ফুলকপি অর্থাৎ ব্রকলি চাষ করে আসছেন। কখনও তিনি ক্যাপসিকাম কখনোবা বিভিন্ন রকম বিদেশী সবজি চাষ করে আসছিলেন।
তবে গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করছিলেন।এবছর প্রায় দুই বিঘে জুড়ে কয়েক হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ব্রকলিও চাষ করেছেন। প্রমথ বাবুর ভাষায় এবছর রঙিন ফুলকপির বাজারে যথেষ্ট কদর রয়েছে। বাজারে গড়ে ৪০ টাকা করে বিক্রি করছেন এই রঙিন ফুলকপি। যা সাদা ফুলকপি তে পাইকার দরে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিকোচ্ছে এখন। স্থানীয় দেউলিয়া কোলাঘাট এবং খুকুড়দহ সবজি বাজারে তিনি এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন। এছাড়াও বাড়ি থেকে ও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তার চাষের এই রঙিন ফুলকপি। ছাদে গুনেও ভরপুর এই ফুলকফি। এখানে কোন রং ব্যবহার করা হচ্ছে না, সম্পূর্ণ সংকরায়ন পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে রংবে-রঙের ফুলকফি।তার এই সবজি চাষ দেখবার জন্য বহু কৃষক আসছেন তার এই ফুলকপি ক্ষেতে। তিনি জানিয়েছেন পর্যায়ক্রমে তিনি এই চাষ করছেন।
ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজার যাতে রঙিন ফুলকপি বাজারজাত করতে পারেন সেই লক্ষকে সামনে রেখে তিনি এই চাষ করছেন। বর্তমানে প্রতিদিনই বাজারজাত করছেন তার এই রঙিন ফুলকপি। সাধারণ ফুলকপি থেকে এই ফুলকপি যথেষ্টই বাজারে দাম রয়েছে, এমনটি জানিয়েছেন কৃষক বন্ধু প্রমথ মাজী। তিনি আরো জানেন আগামী বছর আরও বৃহৎ আকারে চাষ করবেন এই রঙিন ফুলকপি। প্রতি ডেসিমেলে ১৫০ এর মত চারা লাগে এবং লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মাথায় ফলন পেতে শুরু করেন কৃষক। সবমিলিয়ে সাধারন ফুলকপির থেকে বেশি লাভদায়ক এই রঙিন ফুলকপি,এমনটাই দাবী কৃষকবন্ধু প্রমথ বাবুর।