Newscaff : টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়ক ও অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত ক্রিকেটার তিনি। অথচ স্নাতকের ডিগ্রি ভুয়ো। আর তাই ডিএসপির পদ থেকে হরমনপ্রীত কউরকে নামিয়ে আনা হতে পারে কনস্টেবলের পদে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং তাঁর ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছেন না। তবে কনস্টেবলের পদে তাঁকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছেন বলে পঞ্জাব সরকারের তরফে শোনা গিয়েছে। হরমনপ্রীতকে বলা হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা পূর্ণ করতে পারলেই তাঁকে ফের ডিএসপি করা হবে। পুলিশ বিভাগ মনে করছে, ডিএসপি হিসেবে যিনি কাজ করবেন, তাঁকে ন্যূনতম স্নাতক হতেই হবে. কারও ক্ষেত্রেই নিয়মে ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।
এই ঘটনা পুলিশ বিভাগকেও অস্বস্তিতে ফেলছে। মহিলাদের বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তাঁকে পুলিশে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পিছনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীই। সেই সময় ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে কাজ করতেন তিনি। রেল ছাড়তে চায়নি তাঁকে। পাঁচ বছরের চুক্তি ছিল তাঁর। তখন মুখ্যমন্ত্রীই নিজের উদ্যোগে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন। কয়েক মাস আগে ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের চাকরিতে নিযুক্ত হন তিনি।
প্রসঙ্গত, পুলিশ বিভাগ তাঁর ডিগ্রি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল মিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই ধরা পড়ে যে তাঁর স্নাতকের ডিগ্রি ভুয়ো। হরমনপ্রীত সরকারকে বলেছেন যে ডিগ্রি যে সঠিক নয়, তা অজানা ছিল তাঁরও। হরমনপ্রীত জানিয়েছেন, তাঁর কোচ চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁকে। বলেছিলেন, এখানে পরীক্ষা নিয়ে কড়াকড়ি নেই। ডিগ্রি দেওয়া হলেও তা যে ভুয়ো, এমন কোনও ইঙ্গিত তাঁকে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য ভারতীয় মহিলা দলে খেলার সূত্রেই পাঞ্জাব পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন হরমনপ্রীত। গত বছর মহিলা বিশ্বকাপে ভারতের চূড়ান্ত সাফল্যের পরই মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং তাঁকে ডিএসপির পদে নিয়োগ করেছিলেন। চলতি বছর পয়লা মার্চ পাঞ্জাব পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ দেন হরমনপ্রীত। কিন্তু পুলিশ জানাচ্ছে, হরমনপ্রীত কর্মক্ষেত্রে নিজের ডিগ্রির যে সমস্ত শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন সেগুলি আসলে ভুয়ো। হরমনপ্রীত দাবি করেছিলেন, ২০১১ সালে মীরাঠের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। কিন্তু পরে খোঁজে নিয়ে দেখা যায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে হরমনপ্রীতের নামে কোনও রেজিস্ট্রেশনই নেই। ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে যদি হরমনপ্রীতের নামে মামলা করা হয় তাহলে তিনি অর্জুন পুরস্কারও খোয়াতে পারেন। তবে, আপাতত ভারতীয় মহিলা টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ না করারই ইঙ্গিত দিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ।