NewsCaff : ২০০২-এ লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে তাঁর ম্যাচ জেতানো ৮৭ রানের ইনিংস ভারতীয় দলের সমর্থকদের মণিকোঠায় অম্লান হয়ে রয়েছে। সেই কাইফই এবার সমস্ত রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। অবসরের সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট সি কে খান্না ও কার্যনির্বাহী সচিব অমিতাভ চৌধুরীকে ই-মেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ঐতিহাসিক ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার ১৬ বছর পর আজ আমি অবসর নিচ্ছি। ওই জয়ে আমার অবদান রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি। সেই মুহূর্তটি চিরদিনের জন্য মনে রাখতে চাই। ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।
ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন কাইফ। প্রায় পাঁচ বছর ভারতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। সেই সময় ৩০ গজ সার্কেলে, বিশেষ করে কভার এলাকায় ফিল্ডিংয়ে তাঁর ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা দর্শকের রোমাঞ্চিত করেছে।ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
১২৫ টি একদিনের ম্যাচে তাঁর গড় ৩২। রয়েছে মাত্র দুটি সেঞ্চুরি। কিন্তু এই শুষ্ক পরিসংখ্যান দিয়ে কাইফকে মাপা সম্ভব নয়। বোঝা সম্ভব নয়, ছয় বা সাত নম্বরে নেমে, যেখানে বেশি বল খেলার সুযোগই পাওয়া যেতে না, সেখানে কীভাবে তিনি তাঁর লড়াকু মানসিকতার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছিলেন।
১৩ টেস্টে ৩২.০১ গড়ে ২৭৬৩ রান করেছেন তিনি। রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি ও ১৭ হাফ সেঞ্চুরি।
সবমিলিয়ে ৩৭ বছরের কাইফ ভারতের হয়ে ১৩ টেস্ট ও ১২৫ টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর দীর্ঘদিন ধরে উত্তরপ্রদেশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড সফরে টি-২০ সিরিজ জয়ের পর একদিনের সিরিজের শুরুটাও জয় দিয়েই করল ভারতীয় দল। আজ ট্রেন্টব্রিজে প্রথম একদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সহজেই ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল বিরাট কোহলির দল। অপরাজিত শতরান করলেন রোহিত শর্মা (১৩৭)। তাঁর ১১৪ বলের ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও ১৫টি বাউন্ডারি। বিরাট করেন ৭৫ রান। শিখর ধবন করেন ৪০ রান। বল হাতে নজর কাড়েন কুলদীপ যাদব। তিনি ২৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন।