NewsCaff : কেরিয়ারের দীর্ঘ জার্নি পেরিয়ে এসেও এখনও প্রতিদিন দর্শকের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন তিনি। বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ভাঙেন, গড়েন নায়িকা। পর্দায় চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে সাহসীও হয়েছেন। ফের একবার সাহসী হলেন তিনি। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের আসন্ন ছবি ‘গহীন হৃদয়’। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন অগ্নিদেব। প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার এবং কৌশিক সেন। শুটিং প্রায় দু’বছর আগে শেষ হয়েছে। ২০ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। গল্প অনুযায়ী সোহিনী (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) এবং ভাস্কর (দেবশঙ্কর হালদার) দম্পতি। কিন্তু অসুখী দাম্পত্য ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চান সোহিনী। সে সময় ভাস্করের ছোটবেলার বন্ধু অনুপম (কৌশিক সেন)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। এর মধ্যেই ভাস্করের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। কী হবে এর পর? সেটা জানতে হলে যেতে হবে সিনেমা হলে।
দেখে নিন ‘গহীন হৃদয়’-এর ট্রেলার –
সম্প্রতি এক ইংরাজি দৈনিকের তরফে, অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় এধরনের দৃশ্য অভিনয় করতে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দ্য? তার উত্তরে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ”চিত্রনাট্যে প্রয়োজনেই আমি এধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি। এধরনের দৃশ্যে অভিনয় করা ও দৃশ্যটি ফুটিয়ে তোলাও আমার কাছে চ্যালেঞ্জের। এটা আমার কাছে কাজেরই অঙ্গ। আমার চরিত্র ও কাজের জন্য আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। পেশাদারি অভিনেত্রী হিসাবে আমরা ছবির চরিত্র হয়ে উঠি। আর হ্যাঁ, এধরনের দৃশ্যে আমি স্বচ্ছন্দ, আমার সহ অভিনেতা কৌশিক সেনের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াও বেশ ভালো। এই পুরো বিষয়টাই এক্কেবারে ছবির বা অভিনয়ের অঙ্গ। ”
প্রসঙ্গত, দোসর, অলীক সুখের পর গহীন হৃদয়। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা উপন্যাসের বিভিন্ন নায়িকাদের পরদায় বারবার ফুটিয়ে তুলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গহীন হৃদয়ের পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ৭ নম্বর ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। ছবি মুক্তিকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ঋতুপর্ণা।