News Caff:
২০১৯-এ বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে ভারত হিন্দু পাকিস্তান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। কিন্তু না তিনি থেমে থাকেননি। আবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন শশী থারুর। টুইট করে তিনি দাবি করেছেন, দেশের বেশ কিছু জায়গায় মুসলমানদের থেকে গরু বেশি নিরাপদ। অল্পদিন আগে রাজস্থানের আলওয়ারে গরু চোর সন্দেহে আকবর খান নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।
টুইটারে শশী বলেছেন, বিজেপির মন্ত্রীদের সাম্প্রদায়িক হিংসা কমেছে বলে যে দাবি করেছেন, তা তথ্যভিত্তিক নয়। এমন মনে হচ্ছে, যে বেশ কিছু জায়গায় মুসলমানদের থেকে গরুদের নিরাপত্তা বেশি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা।
গরু পাচারকারী সন্দেহে রাজস্থানের আলওয়ারে শুক্রবার রাতে ফের এক জনকে পিটিয়ে মারে স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনী। গণপিটুনিতে গুরুতর জখম আরও একজন পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। নিহতের নাম আকবর খান।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’টি গরু নিয়ে হেঁটে আলওয়ারের রামগড় থেকে ফিরছিলেন আকবর ও তাঁর সঙ্গী। কাছেই হরিয়ানার কোলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা দু’জনেই। গ্রামে ফেরার পথে কয়েকজন তাঁদের আটকায়। গরু পাচারকারী বলে গাল দিতে দিতে শুরু হয় গণপিটুনি। বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধরের পাশাপাশি চলে কিল-চড়-ঘুসি। ঘটনাস্থলেই মারা যান বছর ২৮-এর আকবর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর সঙ্গীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
2017-র 5 এপ্রিল এই আলওয়ারেই শ-দুয়েক স্বঘোষিত গোরক্ষক পেহলু খান-সহ সাত জনকে বেধড়ক মারধর করে। বাকি ছ’জন প্রাণে বাঁচলেও, মৃত্যু হয় পেহলু খানের। সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে তোলপাড় হয়।এমনকী, সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। স্বঘোষিত এই গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিরোধীরা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু তার পরও গোরক্ষার নামে গণপিটুনিতে মৃত্যু আটকানো যায়নি। গত দু’বছরে এই ধরনের ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে, গণপিটুনি রুখতে নতুন আইন আনার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সংসদে রাজনাথ সিং জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে এ নিয়ে নতুন আইন আনার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে গুজব বা গোরক্ষার নামে গণপিটুনি ঠেকাতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই আশ্বাস এখনও যে শুধু কথার কথা, এক সপ্তাহের মধ্যেই তা বুঝিয়ে দিল শুক্রবার রাতের এই হত্যাকাণ্ড।