‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’। প্রথম ছবিতেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। তিনি বাসবী নন্দী। কিন্তু দু’দশকেরও আগে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে নিজেকে পারিবারিক ঘেরাটোপের মধ্যে গুটিয়ে এনেছিলেন তিনি। সচরাচর টালিগঞ্জের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের মাঝে দেখা যেত না তাঁকে। সেই অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর এ বার জীবনাবসানও হল সবার আড়ালেই।
বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। রবিবার রাতে বেকবাগানের বাড়িতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। সোমবার কেওড়াতলায় বাসবীর শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে শুধু পরিবার ও সুহৃদদের উপস্থিতিতেই। একমাত্র মেয়ে দেবাঞ্জলির সঙ্গে থাকতেন প্রবীণ অভিনেত্রী। তিনি বলছিলেন, ‘‘মা বাইরের লোকেদের তেমন মিশতে চাইতেন না। আমি ক্লাস এইটে পড়ার সময় থেকেই পর্দা বা মঞ্চ থেকে তিনি শত হস্ত দূরে।’’ গোড়ায় শুধু গানেই আগ্রহী ছিলেন বাসবী। পিতৃবন্ধু শচীন দেববর্মণের প্রশ্রয়ে গান গাওয়া শুরু। আকাশবাণীর শিল্পী ছিলেন।
‘বন পলাশীর পদাবলী’-তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থেকে শুরু করে ‘বাঘিনী’, ‘রাতের কুহেলি’, ‘আমি, সে ও সখা’-র মতো অজস্র ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। কাজ করেছেন মঞ্চেও।