News Caff: গৌতম সাহা-গত দুই সপ্তাহের মধ্যে দু’বার কেঁপেছে এরাজ্যের মাটি !
মাঝে মাঝেই ঘর্ষণ হচ্ছে ইন্ডিয়ানা প্লেট এবং ওশিয়ানিয়া প্লেটে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ওই দুই স্তরের ভূ কম্পনেরকেন্দ্রস্থলও খুব কাছে ছিল। শুধু বাংলায় ঘন ঘন ভূ-কম্পনই চিন্তার কারণ নয়, ভূমিকম্প এখন সারা বিশ্বের জন্যই মাথাব্যথা কারণ !!
শিয়রে সংক্রান্তি শুধু বাংলার জন্যই নয় , খাঁড়া ঝুলছে সারা বিশ্বের উপরেই। প্লেটের সরণের পাশাপাশি সোলার অ্যাক্টিভিটি, সোলার ম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং জিও ম্যাগনেটিক ফিল্ডের জেরে একের পর এক ছোট বড় ভূমিকম্প হয়ে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১০০ বছরের কম্পনের মাত্রা যেমন বেড়েছে তেমনই দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রে কেন্দ্রস্থল খুব কাছাকাছি হয়ে যাচ্ছে। কখনও সেটি দূরে কোথাও প্রভাব ফেলছে। কখনও উৎসস্থলের আশেপাশেই প্রভাব ফেলছে। ক্রমে বাড়ছে ভূমিকম্পের তীব্রতা, আতঙ্কের বার্তা বিজ্ঞানীদের। এগুলোই বিশেষ শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বছর পাঁচেক আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভু-কম্প বিশারদ সুব্রত কুমার মিদ্যা ভূমিকম্প নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। সেইই গবেষণা পত্রই এই আসন্ন সঙ্কটের তথ্য দিচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী ১৯০০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ধীরে ধীরে বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্পের পরিমাণ বিশ্ব জুড়ে বাড়তে শুরু করে। ষাটের দশক পর্যন্ত এই পরিমাণ চিন্তার ভাঁজ ফেললেও বিশেষ চিন্তার কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এর পর থেকেই ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে ভূমিকম্পের পরিমাণ।
ভূমিকম্প বিশারদরা জানাচ্ছেন ১৯৭০ সাল থেকেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বড় ভূমিকম্পের বেশিরভাগই ১৯৭০ সালের পর হয়েছে এবং এগুলির তীব্রতা ৬ রিখটার স্কেলের উপরে।
১৯৭০ সালের পর থেকে পাহাড়ে পাথর ভাঙার কাজ , খনিজ পদার্থ তোলার কাজ বেড়েছে। মাটির তলায় নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টাও হচ্ছে। এর জেরও পড়েছে বিশ্বের উপর। বেড়েছে ভূমিকম্পের পরিমাণ ও তীব্রতা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ১৯৬০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দক্ষিণ ও উত্তর সোলার অ্যাক্টিভিটির জেরে কম্পনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিয়েছে সোলার ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে। এর জেরেই পৃথিবীর যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে সেটি সঙ্কেতপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং সহজেই টেকটনিক প্লেটগুলিকে সরিয়ে দিচ্ছে বারবার। এর জেরেই বাড়ছে ভূমিকম্প ও তার তীব্রতা। ২০১৮-র পর এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা যা নাকি হবে ভয়ঙ্কর !!!