News Caff: ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) সোমবারই সারা দেশের বিধায়কদের গড় আয়ের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বর্তমানে দেশে বিধায়ক সংখ্যা ৪০৮৬। নির্বাচন কমিশনে বিধায়করা যে হলফনামা পেশ করেন তার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে ৯৪১ জন বিধায়ক তাঁদের হলফনামা কমিশনে জমা দেননি। তাই এই বিধায়কদের বাদ দিয়ে ৩১৪৫ জন বিধায়কের তথ্য-পরিসংখ্যানই বিশ্লেষনে আনা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিধায়কদের বাৎসরিক গড় আয় ২৪.৫৯ লক্ষ টাকা। এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, অঞ্চল, পুরুষ-মহিলা প্রভৃতি বিভাগে ভাগ করে কোন ক্যাটাগরির বিধায়কের বাৎসরিক আয় কত, তার বিস্তারিত হিসাব রয়েছে এই রিপোর্টে।
রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। সবচেয়ে বেশি আলোচিত শিক্ষাগত যোগ্যতার বিভাগ। এই ক্যাটেগরিতে অষ্টম শ্রেণি পাশ বিধায়কদের বাৎসরিক গড় আয় সবচেয়ে বেশি ৮৯.৯ লক্ষ টাকা(বিধায়কের সংখ্যা ১৩৯)। তাঁদের ধারে কাছে কেউ নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্যান্যদের আয় ২৮.৫ লক্ষ। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছেন স্নাতক পেশাদার, স্বাক্ষর, দ্বাদশ শ্রেণি, মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পঞ্চম শ্রেণি। সবচেয়ে কম আয় নিরক্ষরদের ৯.৩০ লক্ষ। তার উপরেই রয়েছেন ডক্টরেট ডিগ্রিধারী বিধায়করা। তাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ১২.৪০ লক্ষ টাকা।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কর্ণাটকের বিধায়কদের বাৎসরিক আয় সবচেয়ে বেশি। এই রাজ্যের ২০৩ জন বিধায়কের বাৎসরিক আয়ের গড় ১১১.১ লক্ষ টাকা। তারপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪৩.৪)। তালিকায় সবচেয়ে নীচে ছত্তিসগড়। এই রাজ্যের ৬৩ জন বিধায়কের গড় আয় বছরে ৫.৪ লক্ষ টাকা। তার উপরে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের আয়ের গড় ৭.৪ লাখ। অঞ্চল ভিত্তিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলির বিধায়কদের আয় সবচেয়ে বেশি, বছরে গড়ে ৫২ লক্ষ টাকা। তারপরেই রয়েছেন পশ্চিমাঞ্চলের বিধায়করা। তাঁদের আয় ২৮.৪ লক্ষ টাকা। আর পূর্বাঞ্চলের বিধায়কদের সবচেয়ে কম ৮.৫ লক্ষ টাকা।
সবথেকে ধনী বিধায়কদের প্রথম কুড়িজনের মধ্যে বাংলার একজনও নেই। যে কুড়িজন বিধায়কের আয় সবথেকে কম, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হুগলির পুরশুড়ার তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামান। পেশায় চিকিৎসক এই বিধায়কের গড় আয় বছরে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।